চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা কোন পরীক্ষা কেন করা হয়


চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা  সমস্যা নিধারনের জন্য 

চোখের ওসিটি পরীক্ষা

ওসিটি(Optical Coherence Tomography) হলো চোখের একটি আধুনিক ইমেজিং টেস্ট, যেটি চোখের ভেতরের সূক্ষ্ম গঠনগুলোকে (বিশেষ করে রেটিনা, অপটিক নার্ভ) ক্রস-সেকশনাল ছবি আকারে দেখায়। এটি ব্যথাহীন, দ্রুত, এবং খুবই নিরাপদ।

ওসিটি-পরীক্ষা- নরমাল-রিপোর্ট

OCT দিয়ে মূলত যেসব পরীক্ষা করা হয়: Retinal OCT রেটিনার স্তরগুলো (Layers) কেমন আছে তা দেখা হয়। রোগ যেমন ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, মাকুলার এডিমা, মাকুলার হোল, এএমডি (AMD) শনাক্ত করতে সাহায্য করে। Optic Nerve OCT চোখের অপটিক নার্ভের হেড ও নার্ভ ফাইবার লেয়ার (RNFL) দেখা হয়। গ্লকোমা (চোখের চাপজনিত ক্ষতি) সনাক্ত ও ফলোআপে ব্যবহৃত হয়। Anterior Segment OCT চোখের সামনের অংশ (Cornea, Iris, Angle, Anterior Chamber) পরীক্ষা করা হয়।

কর্ণিয়ার রোগ, কেরাটোকোনাস, এ্যাঙ্গল ক্লোজার গ্লকোমা নির্ণয়ে সাহায্য করে। Macular OCT

রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশ (Macula) বিশদভাবে দেখা হয়।সেন্ট্রাল সিরাস রেটিনোপ্যাথি (CSR), মাকুলার ডিজেনারেশন, মাকুলার হোল নির্ণয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সুবিধা: কোনো ব্যথা নেই । চোখে সূচ ফোটানো লাগে না । কয়েক মিনিটের মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া যায়। OCT রিপোর্ট বোঝার মূল অংশগুলো  Retinal OCT / Macular OCT।রেটিনার স্তর (Layers): ছবিতে আলাদা আলাদা লেয়ার থাকে, প্রতিটি স্তর সমান ও পরিষ্কার দেখালে স্বাভাবিক।

Central Macular Thickness (CMT): ম্যাকুলার গড় পুরুত্ব মাপা হয় (সাধারণত 250–300 মাইক্রন স্বাভাবিক ধরা হয়)।  বেশি হলে ⇒ মাকুলার এডিমা / ফোলাভাব । কম হলে ⇒ অ্যাট্রফি বা পাতলা হয়ে যাওয়া। Fluid / Cyst: কালো ফাঁপা জায়গা থাকলে ⇒ ফ্লুইড জমে গেছে (CSR, Diabetic Retinopathy, AMD ইত্যাদিতে দেখা যায়)। Optic Nerve OCT / RNFL Analysis পরীক্ষাতে  RNFL Thickness (Retinal Nerve Fiber Layer): সাধারণত 80–110 মাইক্রন স্বাভাবিক। পাতলা হলে ⇒ নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত (Glaucoma / Optic Neuropathy)। Quadrant Analysis:  গ্রাফে চার ভাগে ভাগ করা হয় (Superior, Inferior, Nasal, Temporal)।

Anterior Segment OCT Corneal Thickness (Pachymetry): কর্নিয়ার পুরুত্ব দেখা হয় (গড়ে 520–550 মাইক্রন স্বাভাবিক)। Anterior Chamber Angle: খোলা না বন্ধ বোঝা যায় ⇒ গ্লকোমার ঝুঁকি আছে কিনা বোঝা যায়। রিপোর্ট পড়ার সময় লক্ষ্য করার বিষয় । সেন্ট্রাল ভিশন ঠিক আছে কিনা (Macula normal কিনা) । নার্ভ ফাইবার পাতলা হচ্ছে কিনা (Glaucoma আছে কিনা) ফ্লুইড / ব্লিডিং এর চিহ্ন আছে কিনা

ফ্লুরোসিন ফান্ডাস অ্যাঞ্জিওগ্রাফি (FFA) পরীক্ষা

এটি চোখের রেটিনার রক্তনালী পরীক্ষা করার জন্য একটি বিশেষ ইমেজিং টেস্ট।

রক্তে ফ্লুরোসিন নামক একটি ডাই ইনজেক্ট করা হয়, যা চোখের রেটিনার রক্তনালীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে ধারাবাহিক ছবি তোলা হয়। এতে রক্তনালীর অবস্থা, ব্লকেজ বা লিকেজ ধরা পড়ে। তখন রেটিনার ডক্টর প্রয়োজন মত ব্যবস্থা নেয়।

ফ্লুরোসিন ফান্ডাস অ্যাঞ্জিওগ্রাফি (FFA) কেন করা হয়? (Indications) ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি। এজ-রিলেটেড ম্যাকুলার ডিজেনারেশন (AMD)। রেটিনাল ভেইন অবস্ট্রাকশন।সেন্ট্রাল সিরাস রেটিনোপ্যাথি (CSR)।রেটিনার টিউমার বা ইনফ্লেমেশন। চোখে অস্বাভাবিক রক্তনালী (neovascularization) ধরা।

কিভাবে করা হয়? (Procedure) রোগীর চোখে পিউপিল বড় করার ড্রপ দেওয়া হয়। হাতের শিরায় এক ধরনের ফ্লুরোসিন ডাই ইনজেক্ট করা হয়।চোখের রেটিনার ধারাবাহিক ছবি তোলা হয় (প্রথম 10–15 মিনিটে)।ক্যামেরায় ডাইয়ের প্রবাহ দেখে রক্তনালীর ব্লক, লিকেজ বা অস্বাভাবিকতা ধরা যায়। টেস্টে কী দেখা যায়? রক্তনালীতে অবরোধ আছে কিনালিকেজ বা অস্বাভাবিক নতুন রক্তনালী তৈরি হয়েছে কিনা।ম্যাকুলা অংশে রক্তসঞ্চালনের সমস্যা। রেটিনার ইনফ্লেমেশন বা টিউমার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effects) সাধারণত নিরাপদ, তবে কিছু ক্ষেত্রে হতে পারে-হালকা বমি বমি ভাব বা বমি। ত্বক বা প্রস্রাব সাময়িকভাবে হলুদ হয়ে যাওয়া। খুব কম ক্ষেত্রে অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন (চুলকানি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি)।সুবিধা চোখের রক্তনালীর রোগ নির্ণয়ে খুবই কার্যকর। হার্টের রোগীর ক্ষেত্রে হার্টের ডক্টর এর পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসা পরিকল্পনা (লেজার/ইনজেকশন/সার্জারি) করতে সাহায্য করে। 

চোখের ভি এফ এ পরীক্ষা

এটি সাধারণত Visual Field Analysis (ভিজুয়াল ফিল্ড অ্যানালাইসিস) বা ভিজুয়াল ফিল্ড অ্যাসেসমেন্ট বোঝানো হয়। চোখের VFA পরীক্ষা কী? এবং কেন করা হয়। এটি একটি দৃষ্টি ক্ষেত্র পরীক্ষা (Visual Field Test), যেখানে একজন মানুষের চোখের চারপাশে কতটুকু দেখা যায় (Peripheral vision) তা যাচাই করা হয়। চোখের রেটিনা ও অপটিক নার্ভ সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, তা বুঝতে এই পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

চোখের-ভি-এফ-এ-পরীক্ষা

কেন করা হয়? গ্লকোমা (চোখের চাপজনিত রোগ) ধরা পড়ার জন্য। অপটিক নার্ভের সমস্যা বোঝার জন্য । যা মস্তিষ্কের রোগ (টিউমার, স্ট্রোক ইত্যাদি) এর কারণে চোখে প্রভাব পড়ছে কি না তা বোঝার জন্য। রেটিনার সমস্যা সনাক্ত করার জন্য। পরীক্ষা কিভাবে হয়? রোগীকে একটি বিশেষ মেশিনের সামনে বসানো হয় (যেমন Humphrey Visual Field Analyzer)। এক চোখ ঢেকে রেখে অন্য চোখ দিয়ে আলো বা চিহ্ন কোথায় দেখা যাচ্ছে, সেটা বোতাম টিপে জানাতে হয়।এর মাধ্যমে একটি মানচিত্র তৈরি হয়—কোথায় দেখা যাচ্ছে আর কোথায় ফাঁক আছে। কতক্ষণ লাগে? সাধারণত প্রতিটি চোখের জন্য ৫–১০ মিনিট সময় লাগে। Visual Field Analysis (VFA) রিপোর্টের মূল অংশগুলো

রোগীর নাম, বয়স, চোখ (ডান/বাম), পরীক্ষার তারিখ ইত্যাদি থাকে। Reliability Indices (বিশ্বাসযোগ্যতা) Fixation Loss → রোগী টেস্ট চলাকালীন সঠিকভাবে তাকিয়ে ছিলেন কি না। False Positive / False Negative → রোগী ভুলে বোতাম টিপেছেন কি না। যদি এগুলো বেশি হয়, টেস্ট কম নির্ভরযোগ্য হয়। Visual Field Plot (চোখের মানচিত্র) এটা একধরনের গোলাকার চার্ট, যেখানে কালো/ধূসর অংশ মানে দৃষ্টিক্ষেত্রে ঘাটতি আছে। সাদা অংশ মানে চোখে স্বাভাবিকভাবে দেখা যাচ্ছে। চোখের প্রত্যেকটি বিন্দু স্বাভাবিক মান থেকে কতটা কম তা দেখায়। রোগীর ব্যক্তিগত বৈচিত্র্য বাদ দিয়ে আসল অস্বাভাবিকতা কোথায় আছে সেটা দেখায়।

এটা আসল রোগ নির্ণয়ে বেশি কাজে লাগে। MD (Mean Deviation) পুরো ভিজুয়াল ফিল্ড গড়ে কতটা কমেছে। 0 dB = একদম নরমাল। -2 থেকে -6 dB = হালকা সমস্যা। -6 থেকে -12 dB = মাঝারি সমস্যা। -12 dB এর বেশি = গুরুতর ক্ষতি। VFI (Visual Field Index) শতকরা হারে চোখের দৃষ্টি কতটা আছে।100% = একদম নরমাল। যত কমে, তত দৃষ্টিক্ষেত্র কমেছে। 

উদাহরণ ব্যাখ্যা । ধরা যাক, একটি রিপোর্টে দেখা গেল: Fixation loss: 1/14 → মানে রোগী ঠিকভাবে টেস্ট দিয়েছেন। MD: -8.5 dB → মাঝারি মাত্রার ক্ষতি। VFI: 75% → প্রায় এক-চতুর্থাংশ ভিজন কমে গেছে। Pattern deviation map-এ উপরের দিকে কালো দাগ → মানে দৃষ্টিক্ষেত্রের উপরের অংশে ঘাটতি আছে। এই অবস্থায় ডাক্তার সাধারণত গ্লকোমা বা অপটিক নার্ভ ড্যামেজ সন্দেহ করেন। সেক্ষেত্রে দ্রুত গ্লূকমা ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে বলেন।

চোখের কালার ফান্ডাস ফটোগ্রাফি (CFP) পরীক্ষা

চোখের CFP পরীক্ষা কী? CFP (Color Fundus Photography) হলো একটি চক্ষু-পরীক্ষা, যেখানে একটি বিশেষ ক্যামেরা দিয়ে চোখের ভেতরের অংশের (রেটিনা, অপটিক নার্ভ, ম্যাকুলা, রক্তনালী ইত্যাদি) রঙিন ছবি তোলা হয়। এটি চোখের রোগ নির্ণয়ে খুব গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা, ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, রেটিনার ভাস্কুলার রোগ ইত্যাদি চিহ্নিত করতে।
চোখের-কালার-ফান্ডাস-ফটোগ্রাফি



পরীক্ষার সময় কী করা হয়? রোগীর চোখে সাধারণত ডাইলেটিং ড্রপ দেওয়া হয়, যাতে চোখের মণি বড় হয়ে যায়। তারপর বিশেষ ফান্ডাস ক্যামেরা ব্যবহার করে চোখের ভেতরের ছবি তোলা হয়। পুরো প্রক্রিয়াটি একেবারেই ব্যথাহীন এবং ১০–১৫ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে কী জানা যায়? রেটিনায় রক্তক্ষরণ বা ফোলাভাব আছে কিনা। রক্তনালীর ব্লকেজ বা অস্বাভাবিকতা। অপটিক নার্ভে কোনো ক্ষতি। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপজনিত পরিবর্তন। বয়সজনিত চোখের রোগ। কাদের জন্য প্রয়োজন? ডায়াবেটিস রোগী (চোখের জটিলতা আগেভাগে ধরার জন্য)। গ্লুকোমা বা চোখের চাপ আছে এমন রোগী। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা বা কমে যাচ্ছে এমন ক্ষেত্রে। নিয়মিত চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে।

চোখের বি-স্ক্যান  আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষা

চোখের বি-স্ক্যান  আল্ট্রাসোনোগ্রাফি পরীক্ষা এটি চোখের একটি বিশেষ আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা। এর মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে চোখের ভেতরের গঠন (posterior segment) ও অরবিটের অবস্থা বা রেটিনার অবস্থা বা দেখা যায়। সাধারণত তখনই করা হয় যখন সরাসরি ophthalmoscopy বা slit-lamp দিয়ে চোখের ভেতরে রেটিনা  দেখা না যায় ।
চোখের-বি-স্ক্যান-আল্ট্রাসোনোগ্রাফি-পরীক্ষা


বি-স্ক্যান (B-Scan Ultrasonography) চোখের জন্য একটি বিশেষ ধরনের আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা। সাধারণত তখন করা হয় যখন চোখের ভেতরটা (posterior segment) সরাসরি দেখা যায় না, যেমন—

চোখের মিডিয়া (media) ঘোলা হলে।  কর্নিয়ার ঘন প্যাথলজি। ঘন ক্যাটারাক্ট। হাইফিমা / হাইপোপিয়ন।
ভিট্রিয়াস হেমোরেজ।চোখের ভেতরের অবস্থা জানার জন্য। রেটিনার অবস্থা (retinal detachment আছে কি না)। ভিট্রিয়াস হেমোরেজ। টিউমার (intraocular tumor যেমন retinoblastoma, melanoma)। ভিট্রিয়াস বা রেটিনার বিদেশি বস্তু (intraocular foreign body)। ট্রমা পরবর্তী চোখের জটিলতা দেখতে। রেটিনাল ডিটাচমেন্ট। হেমোরেজ। ফ্র্যাকচার্ড অরবিট।
বি-স্ক্যান আল্ট্রাসোনোগ্রাফি কী?

এটি চোখের একটি বিশেষ আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষা। এর মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে চোখের ভেতরের গঠন (posterior segment) ও অরবিটের অবস্থা দেখা যায়। সাধারণত তখনই করা হয় যখন সরাসরি ophthalmoscopy বা slit-lamp দিয়ে চোখের ভেতর দেখা যায় না।

বি-স্ক্যান করার কারণ (Indications)
মিডিয়া অপাসিটি (Media opacity) থাকলে  যখন আলো চোখের ভেতর পৌঁছাতে পারে না, তখন রেটিনা বা ভিট্রিয়াস দেখা যায় না। যেমন—

এ অবস্থায় বি-স্ক্যান করে রেটিনা ও ভিট্রিয়াসের অবস্থা দেখা হয়।

রেটিনাল রোগ নির্ণয়ে রেটিনাল ডিটাচমেন্ট আছে কি না। রেটিনাল টিয়ার বা হোল Proliferative vitreoretinopathy  ভিট্রিয়াসের রোগ নির্ণয়ে। ভিট্রিয়াস হেমোরেজ। ভিট্রিয়াস মেমব্রেন বা অপাসিটি।Posterior vitreous detachment চোখের ভেতরের টিউমার (Intraocular tumors) Retinoblastoma (শিশুতে)
Choroidal melanoma  Metastatic lesion টিউমারের আকার, অবস্থান ও বিস্তার বোঝার জন্য খুবই কার্যকর।  ট্রমা-সংক্রান্ত সমস্যা। চোখে বিদেশি বস্তু (intraocular foreign body)। ট্রমা পরবর্তী ভিট্রিয়াস হেমোরেজ । রেটিনাল ডিটাচমেন্ট। অরবিটাল ফ্র্যাকচার। অরবিটাল রোগ (Orbital diseases) Optic nerve lesion Orbital tumor বা pseudotumor থাইরয়েড আই ডিজিজ ফলো-আপ ও প্রি-অপারেটিভ অ্যাসেসমেন্ট চোখের ভেতরের অবস্থা বোঝা । সার্জারির আগে পরিকল্পনা করা। বিভিন্ন কারণে এই পরীক্ষা করা হয়। এটি একমাত্র চোখের ডাক্তারই ঠিক করেন যে পরীক্ষা করা লাগবে কি না।


বি-স্ক্যান করা হয় মূলত তখনই, যখন চোখের ভেতর সমস্থকিছু  সরাসরি দেখা সম্ভব না হয় এবং চোখের ভিতরের (রেটিনা, ভিট্রিয়াস, টিউমার, বিদেশি বস্তু, অরবিট) ইত্যাদি অবস্থা নির্ণয়ের প্রয়োজন হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url