রাজশাহী শহরের কিছু দর্শনীয় স্থানসমূহ
ভূমিকা:
রাজশাহী শহরে এবং আশেপাশে এমন অনেক দর্শনের স্থান রয়েছে যেখানে দেশি-বিদেশি পর্যটক এর মন ও আকর্ষণীয় করছে এখানে রয়েছে প্রাচীন স্থাপত্য ঐতিহাসিক নিদর্শন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় উপাসনালয় মিউজিয়াম পার্ক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই শহর।
নিচে আমরা কিছু রাজশাহী শহরের প্রধান দর্শনের স্থানের নিয়ে কথা বলব:
- বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর
- পদ্মা নদীর তীর মুক্তমঞ্চ
- শাহ মখদুম দরগায় ঈদগা মাঠ
- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- রাজশাহী কলেজ
- রাজশাহী বাঘা মসজিদ
- পুঠিয়া রাজবাড়ী মন্দির সমূহ
- জিয়া উদ্যান রাজশাহী বড়বাড়ি
- শহীদ কামরুজ্জামান স্মৃতি স্টেডিয়াম
- আম ও রেশম এর শহর সফুরা সিল্ক
- রাজশাহী আরডিএ পার্ক যা আগে ভদ্র পার্ক নামে পরিচিত ছিল
- রাজশাহী চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন
রাজশাহী অন্যতম এক প্রাচীন জাদুঘর হল বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর এটি বাংলাদেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রাচীনতম জাদুঘর গুলোর মধ্যে একটি এটি স্থাপত্য প্রায় ১৯০ সালের মহারাজা প্রতাপাদিত্য এবং ডঃ শশী কুমার যিনি হচ্ছেন রাজশাহী কলেজের ইতিহাস অধ্যাপক এর উদ্যোগ যাদুঘর আমলে প্রতিষ্ঠিত করা হয়
আমরা বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরে যে সকল জিনিস দেখব প্রাচীন শিলালিপি, মুদ্রা ভাস্কর্য ,হিন্দুদের, বৌদ্ধ ও মুসলিম যুগের সেই নিদর্শন টেরাকোটা কারুকার্য ও মৎস্য শিল্প প্রাচীন অস্ত্রশস্ত্র ও মুদ্রাযন্ত্র। তবে এই জাদুঘরে শিক্ষার্থী ও গবেষক ও ইতিহাস প্রেমীদের জন্য বরেন্দ্র দহন একটি ভান্ডার স্বরূপ। এখানকার টিকিট মূল্য খুবই কম এবং এটা খোলা থাকে সকাল দশটা থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত তবে এটা সোমবার বন্ধ থাকে ।
পদ্মা নদীর তীর অবস্থিত এই মুক্তা মানুষটি আসলে আমাদের শাহ মখদুম দরগায় ঈদগাহ
মাঠের পাশেই অবস্থিত এখানে মাঝেমধ্যে অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য পরিচালনা
করা হয় এখানে বেশিরভাগ মানুষ বিকেল টাইমে সময় পার করার জন্য আসে এটি হচ্ছে
রাজশাহীর অন্যতম একটা দর্শনীয় স্থান।
রাজশাহী শহরের সৌন্দর্য কেন্দ্র বিন্দু হলো পদ্মা নদী বিশেষ করে বিকেলের
সূর্যাস্তের সময় পদ্মার রূপ অতুলনীয় সেই সময় ভ্রমণ পিপাসা নদীতে নৌকা ভ্রমণ
করে নদীর ধারে আড্ডা দেয় ফটোগ্রাফি করে এবং পদ্মার সেই অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করে
তবে উপযুক্ত সময় হলো শীতকালে ঘাটে বসে চা পান বা ভেলপুরি খাওয়ার মজাই আলাদা
গ্রীষ্মকালের সময় ভ্রমণ সবচাইতে উপযোগী
শাহ মখদুম দরগায় মাঠ আসলে রাজশাহীর শহরের সবথেকে বড় ঈদগা মাঠ আমরা বলতে পারি
রাজশাহী বিভাগের সবচাইতে বড় ঈদগা মাঠ এটি এখানে সবচাইতে বড় জামাইদের জামাত
অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহী শহরের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে ঈদগা মাঠটাও একটু দর্শনীয়
যেটা দেখার মত আপনারা যখন পদ্মা নদীর তীরের মুক্তমঞ্চ দেখতে আসবেন।
রাজশাহীর প্রাচীনতম ধর্মীয় নিদর্শন গুলোর মধ্যে একটি ১৩০০ শতাব্দীর ইসলাম
প্রচারক শাহমখদ ুম রূপস রহঃ এর স্মরণে নির্মিত হয়েছে এই ঈদগাহ এখানে প্রতিবছর
ওরস মাহফিল হয় ভক্তদের ভিড়ে মুখরিত থাকে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস আসলে আমাদের একজন গৌরব আমরা রাজশাহী শহরের গৌরব
বলতে পারি আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় 1953 সালে রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা বাংলাদেশের ক্যামব্রিজ অফ দা ইস্ট বলতে পারি ক্যাম্পাস
শুধু শিক্ষা নয় পর্যটকদেরও মন আকর্ষণীয় বৃন্দ হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় এবং
শান্ত পরিবেশ অনেকে শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এই রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে বেড়াতে আসেন যেখানে শান্ত পরিবেশ বলে এখানে মনোরম একটা
মানসিক শান্তি বিরাজ করে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে যে জিনিসগুলো আমরা দেখব সেটি হল শহীদ মিনার
স্মৃতিস্তম্ভ শহীদুল্লাহ হলের শহীদ স্মৃতি ফলোক সুবিশাল লাইব্রেরী ও রাজশাহী
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠ।
তবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বিকেলে ঘুরে দেখার সবচেয়ে ভালো এ গাছের ছায়া ও
শান্ত পরিবেশ আরাম দেয়
রাজশাহী কলেজ হল বাংলাদেশের রাজশাহীর আরেক অন্যতম দ্বিতীয় প্রাচীন কলেজ যা
প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭৩ সালে ব্রিটিশ আমলের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য শরীরের এই কলেজের
ক্যাম্পাসটি আজও দর্শনীয় মুগ্ধ করে যা আমাদের রাজশাহীর অনেকদূর দেশি-বিদেশি
দর্শক ঘুরে দেখেন রাজশাহী কলেজের অন্যতম এক দর্শনীয় চোখ ধাঁধানো দৃশ্য হলো
রাজশাহী কলেজের ইটের ভবন জালালী দিয়ে তৈরি সুবিশাল মাঠ ও বৃক্ষরাজি শহরের
ঐতিহাসিক পরিবেশকে স্মরণ করিয়ে দেয়
রাজশাহী বাঘা মসজিদ হল রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৪০ থেকে ৪২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হলেও এই বাঘা মসজিদ প্রধান দর্শনীয় স্থান টি নির্মাণ করেন নাসির উদ্দিন নসরত সাহা মসজিদ নির্মাণ করেন হচ্ছে ১৯২৩ সালে এই মসজিদের দর্শনীয় স্থান হল এর পাশে বিশাল পুকুর রয়েছে ।
রাজশাহী জিয়া উদ্যান বলতে আমরা এখানে শহরে যারা বাস করে বেশিরভাগ মানুষ রাজশাহী
শিশু পার্ক নামেও মানুষ পরিচিত এখানে ছোট বাচ্চাদের বেশিরভাগ নিয়ে আসেন তার
ফ্যামিলি নিয়ে ছোট বাচ্চারা অনেক বিনোদন পায় এখানে অনেক খেলার ভ্রমণ করার ট্রেন
আছে অনেক কিছু আছে বাচ্চাদের সবচাইতে বেশি আকর্ষণ করে
কামরুজ্জামান স্মৃতি স্টেডিয়ামে আমরা ক্রিকেট খেলা ফুটবল খেলা বিভিন্ন ধরনের
খেলা দেখে যেটা ইন্টারন্যাশনাল আমাদের বিভিন্ন দেশের খেলা দেখা যায় এখানকার
স্টেডিয়ামটা অনেক সুন্দর যেখানে বসে আমরা মনমুগ্ধ হওয়ার পরিবেশে আমরা খেলা
উপভোগ করতে পারি ।






অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url